বিএনপি দেশে গণতন্ত্র নয়, কারফিউতন্ত্র চায় : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি দেশে গণতন্ত্র নয়, কারফিউতন্ত্র চায়। এটাই বিএনপির চরিত্র। তাদের জন্মই হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। লুটপাট ও অর্থপাচারই তাদের মূল কাজ। ক্ষমতায় এলে আবারও তারা একই কাজ করেব। আমরা ভোট চুরি করে নয়, জনগণের রায়ে ক্ষমতায় এসেছি।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী নামের প্রতিবন্ধিজীবী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি, এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না।
এরআগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত ও পায়রা উড়িয়ে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এর আগে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আজকে আমাদের উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের অপরাধটা কি? আমরা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি, এটাই কি আমাদের অপরাধ?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। আমরা ভোট চুরি করতে যাবে কেনো? আমরা ভোট চুরি করে নয়, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। মঈন ও ফখরুদ্দিনের সরকার ছিল বিএনপি ও খালেদা জিয়ার ফসল। তারা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই আমাকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবন এলাকায় সলিটারি কনফাইনমেন্টে একাকী আটকে রাখা হয়।
দেশের অগ্রগতিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালে এ দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা মানবতার জন্য কাজ করছে। আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।