১৯৫৬ সালেও ছিলেন লুইস সুয়ারেজ!
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের সেমিফাইনালে বার্সেলোনা মেতেছিল গোলোৎসবে। একের পর এক গোল করে ৭-০ ব্যবধানের বিশাল জয়ের পর ফাইনাল প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছেন মেসি-সুয়ারেজরা। দারুণ এক কাকতালীয় ঘটনারও জন্ম দিয়েছেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলাররা। এক ম্যাচে চার গোল করে সুয়ারেজ ফিরিয়ে এনেছেন ১৯৫৬ সালের স্মৃতি। অবাক করার মতো বিষয় হলো ১৯৫৬ সালে লা লিগায় বার্সেলোনার সাত গোলের ম্যাচে চার গোল করেছিলেন আরেক স্ট্রাইকার। তাঁর নামও ছিল লুইস সুয়ারেজ।
বুধবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া যায় ১৯৫৬ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে সেই লা লিগার ম্যাচের। সেই ম্যাচে সুয়ারেজের চার গোলের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক করেছিলেন আরেক স্ট্রাইকার তেজাদা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তেজাদার ভূমিকায় দেখা গেছে এ সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। তবে খেলার চূড়ান্ত ফলাফলের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে কিছুটা পার্থক্য। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সা পেয়েছে ৭-০ গোলের জয়। আর ১৯৫৬ সালে আতলেতিকোর বিপক্ষে বার্সা জিতেছিল ৭-৩ গোলে।
পুরোনো সুয়ারেজ ছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। বার্সেলোনায় খেলেছিলেন ১৯৫৫ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৯৬০ সালের ব্যালন ডি’অরও জিতেছিলেন এই স্প্যানিশ সুয়ারেজ।
এখনকার সুয়ারেজও গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ড। ইউরোপের সেরা পাঁচটি লিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমের তিনটি প্রধান প্রতিযোগিতায় (লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগ) হ্যাটট্রিক করার অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে লিওনেল মেসিও স্পর্শ করেছেন দারুণ এক মাইলফলক। পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে করেছেন ৫০০টি গোল।
বার্সেলোনাও ছুঁয়েছে একটি মাইলফলক। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত বার্সেলোনা করেছে ১০০টি গোল। এর মধ্যে ৭৫টিই এসেছে মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমারের কল্যাণে। সুয়ারেজ এখন পর্যন্ত করেছেন ৩৩টি গোল; মেসি ও নেইমার ২১টি।