লকপুর গ্রুপের ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৩৮ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা
খুলনার বহুল আলোচিত লকপুর গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৩৮ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বাদী হয়ে অর্থ ঋণ আদালতে মামলাটি করেন। এতে বিবাদী করা হয় এস এম আমজাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী বেগম সুফিয়া আমজাদকে। আমজাদ হোসেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং লকপুর গ্রুপের মালিক।
জনতা ব্যাংকসূত্রে জানা যায়, লকপুর গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন পলিমারের বিরুদ্ধে ১৫১ কোটি টাকা, মুনস্টার পলিমারের নামে ৯০ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিংয়ের ৯৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর অর্থ ঋণ আদালতে পৃথক তিনটি মামলা করে জনতা ব্যাংক। এই তিনটি মামলার শুনানির জন্য আগামী জানুয়ানির ১৫ তারিখ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম আজাদের পক্ষে উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে জনতা ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম অরুণ প্রকাশ বিশ্বাস, এজিএম কাজী জাফর হায়দার এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে জবাব দিতে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক খুলনা জোনের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ প্রকাশ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘জমি ছাড়াও ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ, উৎপাদিত পণ্যের প্লেজ ঋণ, এলসি মার্জিন ঋণসহ নানাবিধ ঋণ রয়েছে, যা সুদে আসলে এত টাকা হয়েছে।’
অরুণ প্রকাশ জানান, ব্যাংক ঋণের বিধি অনুযায়ী এই মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এম এম আমজাদ হোসেনের আমেরিকার মোবাইল নম্বরে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান জানান, ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজস ছাড়া এ ধরনের অপরাধ করা যায় না। একইভাবে রয়েছে প্রভাবশালী কর্মকর্তার প্রভাব বিস্তার। কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ, প্রতারণা, মানি লন্ডারিং ঘটনা থাকলেও অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করে মূলত প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।