ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে ফ্রান্স-মরক্কো
ফ্রান্সের টানা দুটি ফাইনাল হবে নাকি মরক্কান রূপকথা, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আজ। টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয় থেকে আর মাত্র দুই পা দুরত্বে ফ্রান্স। কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আজ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে মরক্কোর। যারা কিনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে শেষ চারে উঠে এসেছে।
কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত রক্ষণ আগলে রাখার ক্ষেত্রে সফল দল মরক্কো। সেমিফাইনালে ওঠা পর্যন্ত মরক্কোর জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দলই। যে একটি গোল তাদের জালে জড়িয়েছে সেটি ছিল আত্মঘাতী। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ মরক্কোর রক্ষণ। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমকেও সেই ভয় নাড়া দিচ্ছে। তাইতো মরক্কোর রক্ষণ নিয়ে বাড়তি সতর্ক ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কোচ।
প্রথমবার সেমিতে আসা মরক্কোর চেয়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরিসংখ্যানের পাল্লা ফ্রান্সের বহুগুণ ভারী। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে এসব পরিসংখ্যান যেন বাধাই হয়ে দাঁড়ায়নি। নিজেদের দিনে চোখ রাঙাচ্ছে যে কোনো দলই। তাই মরক্কো বাধা কাটাতে ফ্রান্সকে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখছে না।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে শেষ চারে উঠে এসেছে মরক্কো। কিন্তু তাদের সামনে আজ আসরের অন্যতম ফেভারিট ফ্রান্স। আসরে ৫ গোল নিয়ে মেসির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপ্পে। আক্রমণে তাঁকে সঙ্গ দিবেন অলিভিয়ের জিরুড।
আসরের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল হলেও ফরাসি কোচের দুশ্চিন্তার নাম চোট। চোটের কারণে হয়তো শুরুর একাদশে নাও থাকতে পারেন ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো ও মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান র্যাবিওট। তবে, মধ্যমাঠে দুরন্ত ছন্দে আছেন আন্তোইন গ্রিজম্যান। মরক্কো দলেও আছে চোট সমস্যা। সেন্টারব্যাক নায়েফ অ্যাগুয়ের্ড ও রোমান সাইসকে নিয়ে চিন্তিত কোচ।
চেষ্টার কমতি রাখবে না কেউই। তবু শেষ হাসি হাসবে একটি দল। সেটি কারা, তা জানাতেই মঞ্চস্থ হয়েছে শেষ চারের শেষ লড়াই।