যশোরে ১০ দিনের জমজমাট বইমেলা শেষ হচ্ছে কাল
যশোরে ১০ দিনের জমজমাট বইমেলা শেষ হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। এদিন বিজয় দিবস। সরকারি ছুটি থাকায় শেষ দিনেও মেলাপ্রাঙ্গণে ব্যাপক লোকসমাগম হবে বলে আশা প্রকাশকদের। মেলায় সাহিত্যপ্রেমীদের পাশাপাশি কবি-সাহিত্যিকরাও ভিড় করছেন।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র যশোর ও জেলা প্রশাসন ও যশোর ইন্সটিটিউটের যৌথ আয়োজনে এ বইমেলা শুরু হয় যশোর মুক্ত দিবস ৬ ডিসেম্বর। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় অর্ধশতাধিক বইয়ের স্টল দিয়েছে। কবি-সাহিত্যিকদের জন্য মেলায় ‘দরবারে মির্জা গালিব’ নামে একটি কর্নার করা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই উন্মুক্ত কবিতা পাঠের আসর বসছে। এ ছাড়া মূলমঞ্চে থাকে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এসব আয়োজন।
কবি কবির শাহজাহান বলেন, ‘যশোরে প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে বইমেলার আয়োজন হওয়া উচিৎ। বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এ ধরণের মেলার কোন বিকল্প নেই।’
কবি মানবেন্দ্র সাহা বলেন, ‘অনেকদিন পর যশোরে এরকম বইমেলা হচ্ছে। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন কবি, সাহিত্যিক, পাঠকদের মিলনমেলা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে দরবারে মির্জা গালিবও অনেককে আকৃষ্ট করেছে।’
একই ধরনের কথা বলেন কবি আরশি গাইন। তিনি বলেন, ‘এবারের বইমেলা প্রশংসার দাবি রাখে। ঢাকা থেকে প্রকাশকরা এসেছেন। যশোরের বেশ কয়েকটি স্টল আছে। সব মিলিয়ে বইপোকা পাঠক-পাঠিকারা যশোরে অবস্থান করেই তার পছন্দের বই কিনতে পারছেন। তা ছাড়া, মেলায় কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে তাদের দেখা হচ্ছে। পাঠক-পাঠিকারা তাদের অনেক প্রশ্ন সরাসরি একজন লেখককে জিজ্ঞেস করতে পারছেন, অনেক কিছু জানতে পারছেন।’
দোলন সম্পাদক ও কবি কামাল মোস্তফা বলেন, ‘মেলায় কবি, সাহিত্যিক, পাঠকদের পদচারণা আশাব্যাঞ্জক। নিঃসন্দেহে বেশ জমজমাট মেলা, বলাই যায়।’