বিজয় দিবসের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল
মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সুন্দরবনে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সহস্রাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে শুধু করমজলে।
বনের সবচেয়ে কাছাকাছি ও আর্কষণীয় স্পট হওয়ায় করমজল কেন্দ্রটিতে লোক সমাগম বেশি হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, একদিকে মহান বিজয় দিবসের ছুটি অপরদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ; তাই আজ পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। যাদের বেশিরভাগ এসেছে পরিবারসহ।
অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকারি চাকরিজীবীরাও এসেছেন সহকর্মী ও পরিবার-পরিজন নিয়ে। এসেছেন মোংলাসহ আশপাশ এলাকার লোকজনও।
গত সপ্তাহ জুড়ে আসা পর্যটক সংখ্যার রেকর্ড করেছে আজ শুক্রবার। আজই প্রায় এক হাজার ২০০ পর্যটক এসেছে করমজলে। এর আগে বৃহস্পতিবার এ কেন্দ্রে পর্যটক আসে ১৫০ থেকে ২০০। গত শুক্রবার লোক হয়েছিল চারশ’র মতো।
এদিকে, আগামীকাল শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় লোক সমাগম ভালো হবে বলে আশাবাদী বনবিভাগ।
করমজল ছাড়াও বনের হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট-নীলকমল, কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরে অনেক পর্যটক সমাগম ঘটেছে। এসব জায়গায় লঞ্চে করে তিন দিনের প্যাকেজে গেছেন দর্শনার্থীরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, ‘আজ শুক্রবার দিনভর ৫০টির মতো ছোট-বড়-মাঝারি লঞ্চ পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এ লঞ্চগুলোতে প্রায় দুই হাজার পর্যটক তিন দিনের প্যাকেজে সুন্দরবন ভ্রমণে গেছেন। মূলত বিজয় দিবসের ছুটিতে এত বেশি সংখ্যক লোকের আগমন ঘটেছে।’
নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, কারণ শীতকালই হলো মূলত পর্যটন মৌসুম। এই সময়টাতে সাগর ও নদীর পানি স্বাভাবিক থাকে, সেই সঙ্গে ঝড় বৃষ্টি না থাকায় পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে, এই সময়েও কখনো কখনও ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা থাকে। এবার যদি তেমন বড় কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হয় তাহলে পর্যটকদের আনাগোনায় সরগরম থাকবে এ শীত মৌসুম।’