শেষের চিত্রনাট্য যেন নিজ হাতে লিখলেন মার্টিনেজ
শ্রেষ্ঠত্ব যদি সহজে ধরা দেয়, তাতে কতটা সুখ আসে? বোধকরি কাঠখড় পুঁড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে কম। লুসাইল স্টেডিয়ামে আরাধ্য বিশ্বকাপটা পেতে শেষ কাঠখড়টাও পুঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। সেখানে মেসি যদি হন মহানায়ক, তবে অনায়াসে নায়ক বলা চলে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে।
১১৯ মিনিটে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ফ্রান্সের কোলো মুয়ানির যে বলটা বাঁচালেন, তাকে নিঃসন্দেহে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের সেরা সেভ বলা যায়। যেটি গোল হলে বদলে যেতো দৃশ্যপট। এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। মার্টিনেজ আরেকবার নায়কের ভূমিকায়।
ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হয়তো আটকাতে পারেননি তিনি, কিন্তু শুটআউটে আটকে দিয়েছেন কিংসলে কোম্যানের শট। তাতেই উজ্জীবিত হয় আর্জেন্টিনা, পেয়ে যায় কাঙ্খিত বিশ্বকাপ। মার্টিনেজের হাতে ওঠে বিশ্বসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব।
ম্যাচ শেষে আবেগতাড়িত হয়ে মার্তিনেজ বলেন, ‘স্রষ্টাকে ধন্যবাদ। ম্যাচে আমরা যথেষ্ট লড়াই করেছি। প্রত্যেকে ভীষণ সংগ্রাম করেছে। পেনাল্টির সময় আমি মাথা ঠান্ডা রেখেছি। আমি পেরেছি আমার কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন এরচেয়ে দুর্দান্তভাবে পূরণ হতেই পারে না।’
গোটা ম্যাচে বারবার পরাস্ত হয়েও শেষাংশের চিত্রনাট্য যেন নিজ হাতে লিখলেন এমি মার্টিনেজ। নতুন করে লেখালেন ফুটবলের ইতিহাস। আইকনিক এক ফাইনালে আইকনিক সেইভে নিজেকে করে নিলেন ইতিহাসের অংশ।