৬০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সক্ষমতা রয়েছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আরও ইভিএম মেশিন কেনার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন মেশিন কিনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে কমিশন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দরবার হলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিইসি একথা বলেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভায় কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য আর কিছু একবারেই বিনষ্ট। এ মেশিনগুলো জাতীয় সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে; যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ইভিএম মেশিনগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে।’
সিইসি বলেন, ‘বিএনপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে একাধিকবার অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি আমাদের সে অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড়। এক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই।’
সিইসি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনগুলোতে ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণ করা হবে। তবে, ওইসব কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের আর্থিক সঙ্গতি কমিশনের আপাতত নেই।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার তিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।