আওয়ামী লীগের হাত ধরে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ : শেখ সেলিম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি করতেন। তিনি কখনও হটকারী রাজনীতি করতেন না। আওয়ামী লীগের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এ দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল মঞ্চে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব জেলার নেতাদের নিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একইসঙ্গে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। এসময় মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত হয় ওঠে পুরো সমাবেশস্থল।
শেখ সেলিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন- এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য শক্তিশালী সংগঠন প্রয়োজন। এ কারণেই তিনি ১৯৫৪ সালে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগকে দেশের আনাচেকানাচে পৌঁছে দেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও গণমানুষের রাজনীতি করতেন। তিনি কোনো হটকারী রাজনীতি করতেন না।
শেখ সেলিম আরও বলেন, অনেকে তথাকথিত জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তাদের বলতে চাই, জাতির পিতাই প্রথম ভাষা আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরে শেখ সেলিম বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ ৮টি মিথ্যা মামলা দিয়েও পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে দমাতে পারেননি। তিনি তিলে তিলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে পরিণত করেন।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে শেখ সেলিম বলেন, স্বাধীন দেশ যখন বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে, তখনই খন্দকার মোশতাক ও জিয়া গং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে ও দেশ কখনোই স্বাধীন হতো না।