নতুন বছরে জঙ্গি মাথচাড়া দিলে মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : র্যাব ডিজি
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, নতুন বছরে যদি জঙ্গিরা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে তা মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সব সময় তৈরি রয়েছে। র্যাব সব সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত।
গতকাল শনিবার দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২-এ নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
র্যাবের প্রধান বলেন, ‘যে সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তারাও আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন। আমরা সে অনুযায়ী নিরাপত্তা সাজিয়ে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে যদি জঙ্গিরা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং এতে কোনো সংকট তৈরি হয়, সেটি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা সব সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত।’
গুলশান বারিধারা কেন্দ্রিক বাড়তি নিরাপত্তার পেছনে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘গুলশান এলাকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় দূতাবাস, ফাইভ স্টার হোটেল, সমাজের উচ্চবিত্তদের বসবাস রয়েছে। সবকিছু হিসেব করে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছি।’
নববর্ষে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে র্যাব প্রধান বলেন, ‘ডিএমপি থেকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এগুলো সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ করছি। উন্মুক্ত স্থানে ও ছাদে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে, ফাইভ স্টার হোটেলের অনুষ্ঠানে বাধা নেই।’
বাড়তি নিরাপত্তা উৎসবে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে কিনা জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, ‘মাদক খেয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ঠেকানোর জন্য আমরা মাঠে আছি। এই জন্যই আমরা একটু কঠোরতা নিয়ে থাকি। সারা দেশে মানুষ উৎসব করবে, কিন্তু নিয়মের মধ্যে থেকে। সারা বিশ্বের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নববর্ষের ভিন্ন আয়োজন থাকে। তেমনি আমাদের দেশে গুলশান, বনানী, বারিধারায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় মানুষের চাপ বেশি থাকে। এ জন্যই আমরা এ সকল এলাকা গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকি।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘তরুণেরা গুলশান কেন্দ্রিক। তাঁরা মোটরসাইকেল, গাড়িসহ বিভিন্নভাবে এই এলাকায় আসতে চায়। আমরা কাউকে নববর্ষ পালনে বাধা দিচ্ছি না, কিন্তু এটাতো পারিবারিকভাবে পালন করা যায়। আবার আমরা আধুনিকতা পছন্দ করি, কিন্তু এর নামে যদি আমরা বেহায়াপনা করি, সেটা সমাজ মেনে নেবে না। এই সকল বিষয় মাথায় রেখেই আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।’