জুলুমকারীদের বিচার হবে জনতার আদালতে : দুলু
জনতার আদালতে আজকের সরকারপ্রধানসহ জুলুমকারীদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
নওগাঁয় ‘বিএনপির ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুরে নওগাঁ শহরের পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেন এবং তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ভোট কারচুপি করে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন শামছুল হুদা। আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখেন তবে ওই শামছুল হুদাকে ফাঁসির রশিতে ঝুলানো হবে। সে সময় ওয়ান ইলেভেনের নায়ক মঈন-ফখরুদ্দিন তার যোগসাজশে আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এনেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবারই আওয়ামী লীগের গুণ্ডাপাণ্ডারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। আগামীতের যাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য তারেক জিয়ার নেতৃত্বে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এত দিন যারা অত্যাচার করেছে, যতই আমরা সংস্কারের কথা বলি না কেন, তাদের কি মাফ করা যাবে? বাংলার মানুষ তাদের মাফ করবে না। জনতার আদালতে আজকের সরকারপ্রধানসহ জুলুমকারীদের বিচার করা হবে।’
রুহুল কুদ্দুস দুলু আরও বলেন, ‘আজকে যারা আমাদের কর্মীদের অত্যাচার করছে, যারা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়েছে, আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করছে—তাদের কোনো মাফ হবে না। তাদের বিচার জনতার আদালতে আমরা করতে চাই। কেউ ছাড় পাবে না।’
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা জনতার সঙ্গে থাকুন। এ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে। আপনারা ভোট দিয়ে গতবার আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। এ দেশের জনগণ আর এই অবৈধ সরকারকে চায় না। আপনারা দয়া করে আর এই অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। গত ১৫ বছরে যে সব পুলিশ সদস্যের সততার সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং আওয়ামী লীগ না করার জন্য চাকরি চলে গেছে, তাদের চাকির ফেরত দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণসহ যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ২৭ দফা উপস্থাপন করে দুলু বলেন, ‘জনগণের মতামত নিয়েই বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এতে দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। পরপর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে এই সরকার রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে কলুষিত করেছে, বিতর্কিত করে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য বিএনপি ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।’
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব দেন কেন্দ্রীয় সহসমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান, শফিউল আজম প্রমুখ।