ফেব্রুয়ারিতেই চালু হতে পারে ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩৭৭ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত বহু আকাঙ্খিত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল)। পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এই তেল পাইপলাইন। এই পাইপলাইন দিয়েই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ির নুমালীগড় তেল শোধনাগার (এনআরএল) থেকে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আমদানি করা হবে।
নুমালীগড় তেল শোধনাগার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এই জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোশনের (বিপিসি) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে। এর ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করা যাবে। এই পাইপলাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার রয়েছে ভারতে, বাকি অংশটা বাংলাদেশে।
ভারত থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এই পাইপলাইন বসাতে খরচ হচ্ছে মোট ৩৭৭.০৮ কোটি রুপি। জানা গেছে, এর মধ্যে ভারতীয় অংশে এনআরএল বিনিয়োগ করেছে ৯১.৮৪ কোটি রুপি। অন্যদিকে বাংলাদেশ অংশে ভারত সরকারের গ্র্যান্ট-ইন-এইড প্রোগ্রামের আওতায় দেওয়া হচ্ছে ২৮৫.২৪ কোটি রুপি। দ্বিপাক্ষিক এই প্রকল্পের যন্ত্রাংশ সংগ্রহের কাজ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুমালীগড় তেল শোধনাগারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি আরও জানান, ‘আমরা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপলাইন স্থাপনকাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
নুমালীগড় তেল শোধনাগারের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ‘প্রকল্পটি সত্যিকার অর্থেই একটি বিস্ময়কর প্রকৌশলী কর্মকাণ্ডের নিদর্শন। আমরা অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত বোঝাপড়ার ফলে এই আন্তর্জাতিক প্রকল্পটি দিনের আলো দেখতে চলেছে।’