চমেক হাসপাতালে কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ, সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগের ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর কারণে সড়ক অবরোধ করেছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কয়েকঘণ্টা চমেক হাসপাতালের সামনের সড়কে অবরোধ করার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
অবরোধকারীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েকঘণ্টা সড়কে অবস্থানের পর পুলিশ লার্টিচার্জ করে সরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীদের। এ ঘটনায় কয়েকজন কিডনি রোগী গুরুতর আহত হয়। এর আগে রোগীদের কর্মসূচির কারণে মূল সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, প্রতি মাসে একজন রোগীকে আটবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মধ্যে দুই বার দুই হাজার ৭৯৫ টাকা পরিশোধ করলে বাকি ছয়বারই ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু, নতুন বছরের শুরুতে এসে দুইবারের পরিবর্তে চারবার করা হয়। তাও আবার ফি বাড়িয়ে দুই হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। আর বাকি চারবার ৫৩৫ টাকা করে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে প্রতি রোগীর ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এর প্রতিবাদে গত রোববার থেকে আন্দোলনে নেমেছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। তাদের দাবি, রোগীদের অধিকাংশ দরিদ্র ও রোগে আক্রান্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম হাসান বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর ফি বাবদ পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তিতে ডায়ালাইসিস হচ্ছে। কিডনি রোগীদের সহায়তায় দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া সড়ক দখল করে কর্মসূচি পালন করায় রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় লাঠিচার্জ করা হয়নি। তবে, কর্মসূচিতে কারও ইন্ধন আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের কিডনি রোগীদের জন্য ২০১৭ সালে ৩১টি মেশিন নিয়ে চমেক হাসপাতালের নিচতলায় এ কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু করা হয়। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর এ সেন্টার তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।