দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনো বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে, চাঁদা কালেকশন-মনোনয়ন বাণিজ্য করে আবার চলে যায়। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে- মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।’
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) ফাইভ স্টার মাঠে ‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তাঁরা।
ড. হাছান বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায়নি। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করেনি। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায়নি। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছি।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে, ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন এলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে আর মোটাতাজা হয়, আর কিছু সমুদ্রের ওই পারে পাঠিয়ে দেয়, তিনিও মোটাতাজা হন। এই হচ্ছে বিএনপি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শীতে কষ্ট পাক সেটি আমাদের নেত্রী চান না বিধায় ইতোমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সমগ্র বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায়, প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’