মুফতি শহিদুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
আল মারকাজুল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি শহিদুল ইসলামের (৬৩) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় তাঁকে দাফন করা হয়।
আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয় এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মামুন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুফতি শহিদুল মানিকগঞ্জ সদরের একটি বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শহিদুল নানাবিধ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাধ্যক্যজনিত কারণে মারা যান বলে জানা গেছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘মানিকগঞ্জ সদরে মুফতি শহিদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখানে তিনি দুটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। গত বুধবার তিনি সেখানে যান। গতকাল সন্ধ্যায়ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘সর্বশেষ গত দুই বছরে তিনি একাধিকবার মাইনর স্ট্রোক করেছিলেন। মস্তিষ্কের সমস্যা ছিল। এ ছাড়া তিনি নানাবিধ রোগে আক্রান্ত ছিলেন।’
আব্দুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জ থেকে আজ শুক্রবার সকালেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল ইসলামীর কার্যালয়ে মরদেহ আনা হয়। এ সময় কার্যালয়ে তার ভক্ত ও অনুসারীদের উপস্থিতিতে তৈরি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। তারপর মরদেহের গোসল করানো হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে।
এ মসজিদে বাদ জুমা জানাজা পড়ানো হয়। জানাজা শেষে মুফতি শহিদুলের লাশ দাফনের উদ্দেশে খাটিয়ায় করে নেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। তারপর সেখানে দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে জানান আব্দুর রহমান।
করোনা শুরুর পর থেকে আল মারকাজুল ইসলামী এ পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় ২০ জনের মতো মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফন করে থাকে।
মুফতি শহিদুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে আল মারকাজুল ইসলামী নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে নড়াইল-২ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামের একটি রাজনৈতিক দল।