রুশ সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে গৃহবন্দি তরুণী, পায়ে পরতে হবে ডিভাইস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমালোচনা করে গৃহবন্দি হলেন রাশিয়ার এক তরুণী। আরখানগেলস্ক অঞ্চলের এই তরুণীকে গৃহবন্দি অবস্থায় একটি ডিভাইস পরতে হবে, যা তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের খবর দেবে। ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম ওলেসিয়া ক্রিভতসোভা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীকে অসম্মান ও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওলেসিয়া ক্রিভতসোভাকে এই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাঁর একটি গোড়ালিতে পুতিন-বিরোধী ট্যাটু ছিল। অন্য পায়ে ওই ডিভাইস পরতে হবে।
গত অক্টোবরে ক্রিমিয়ান ব্রিজে বিস্ফোরণ সম্পর্কে ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট করায় রুশ কর্মকর্তারা ক্রিভতসোভাকে আইএসআইএস, আল কায়েদা এবং তালেবানের সমতুল্য সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের তালিকায় যুক্ত করেছেন। ওই পোস্টে ক্রিভতসোভা ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেছিলেন।
ক্রিভতসোভা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আরখানগেলস্কের নর্দার্ন (আর্কটিক) ফেডারেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রাশিয়ার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ভিকে-তে শিক্ষার্থীদের চ্যাট গ্রুপে রুশ সেনাবাহিনীকে অসম্মান করে যুদ্ধের সমালোচনামূলক পোস্টের কারণে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
বর্তমানে ক্রিভতসোভা আরখানগেলস্ক অঞ্চলের সেভেরোডভিনস্কে তাঁর মায়ের অ্যাপার্টমেন্টে গৃহবন্দি আছেন। অনলাইনে ও যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
ক্রিভতসোভার আইনজীবী আলেক্সি কিচিন সিএনএনকে বলেন, ‘ওলেসিয়ার মামলা প্রথম নয়, শেষও নয়।’
কিচিন আরও বলেন, ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে অসম্মানের জন্য তরুণীর তিন বছরের কারাদণ্ড এবং সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয় দেওয়ায় সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে, ক্রিভতসোভার ক্ষেত্রে এই শাস্তি কিছুটা কম হতে পারে।’
ওলেসিয়ার মা নাটালিয়া ক্রিভতসোভা বলেছেন, সরকার জনসাধারণকে একটি সতর্কবার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও তাঁর মেয়ের জন্য এটি ‘প্রকাশ্য বেত্রাঘাত’, কারণ নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার দেওয়া হয়নি।