হিরো আলমের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
বগুড়ায় আলোচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন ও ছবি প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা এবং এক সাংবাদিককে গালাগাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা যুবলীগের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম শিপুল ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা ও গালাগাল করেন বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।
মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক হলেন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং দৈনিক বগুড়া পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার জহুরুল ইসলাম।
জে এম রউফ অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় শহরের টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন টাউন ক্লাবের অফিসে বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলমের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের নিউজ লিখছিলেন তিনি। তখন যুবলীগনেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় টাউন ক্লাবে এসে ’সাংবাদিকরা হিরো আলমকে রাজনৈতিক নেতা বানাচ্ছেন’—এমন অভিযোগ তুলে সাংবাদিক তাঁর উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত অন্যরা রউফকে উদ্ধার এবং শিপুলকে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। এরপর আবারও প্রবেশ করে সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের উপর হামলা চালান এবং তাঁকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় টাউন ক্লাবের কর্মচারীরা শিপুলকে ক্লাব হতে বের করে দেন। এ ছাড়া বুধবার রাতে কয়েকজন মিডিয়াকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন বলে জানান তাঁরা। হিরো আলমকে নিয়ে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করায় শিপুল ক্ষুব্ধ হয়ে এমন আচরণ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারাসহ ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, শিপুলকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তাঁকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত জেলা যুবলীগের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম শিপুল পলাতক থাকায় এ বিষয়ে জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।