শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বিদ্যুতের ‘রসিকতা’
বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সাফল্য নিয়ে কথা বলছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলছিলেন, ‘অতীতে যেখানে মাত্র চার হাজার মেগাওয়াটও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো না, সেখানে এই সরকার ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে।’ এ কথা শেষ হওয়ার পরই বিদ্যুৎ চলে যায়। কথা বলার চেষ্টা করেও চুপ থাকেন মন্ত্রী।
দুই মিনিট পর বিদ্যুৎ আসে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা বিদ্যুতের রসিকতা।’
আজ মঙ্গলবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব থেকে সম্মানী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন শিক্ষকরা। তাঁদের অর্থের প্রয়োজন আছে, বেতন স্কেলে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তার দ্রুতই সমাধান করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বেশি। নিজের সাথে নিজেকে প্রতিযোগিতা করে আরো অনেক ওপরে উঠতে হবে। দেশের শতভাগ সম্পদের মালিক হচ্ছেন জনগণ, তাই তাদের কাছে রয়েছে আমাদের দায়বদ্ধতা।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গতানুগতিক ধারায় চলতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। এখানে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান ও ভালো মানুষ তৈরি করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ খান আতিয়ার রহমান।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি স্কুল ও একটি ইনস্টিটিউটে নতুন ভর্তি হওয়া এক হাজার ১১৮ জন শিক্ষার্থীকে শপথ গ্রহণ করান।