খুলনায় সমাবেশে যাওয়ার পথে ঝিনাইদহে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে সমাবেশে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থেকে আসা নেতাকর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে মারধর ও বাসে ভাঙচুর চালানো হয়।
আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্যা বিকেল পোনে ৪টার দিকে জানান, বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করার কোনো তথ্য নেই।
এ ঘটনায় আহত অবস্থায় রকি হোসেন, আব্দুস শুকুর, আকিব হোসেন, বাহাদুর, আমজেদ হোসেন, নাসির হোসেন, পাঞ্জু শেখ ও লিটন হোসেনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মারধরের শিকার আহত আব্দুস শুকুর বলেন, ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ১২টি বাস ও ১০টি মাইক্রোবাসে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে রওনা দিই। পথিমধ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় পৌঁছালে বাসের সামনে ব্যারিকেড দেয় কয়েকজন। এ সময় বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। প্রায় ৫০ জন হামলা চালায়। এ সময় আমাদের বাস ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। আমাদের জামা কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাসগুলো আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এখন পায়ে হেঁটে যশোরের দিকে যাচ্ছি।’
কুষ্টিয়া দৌলতপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৮০০ নেতাকর্মী নিয়ে খুলনার সমাবেশে যাচ্ছিলাম। ঘটনাস্থলে ৫০ জনের মতো লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাসের সামনে ব্যারিকেড দেয়। বাস থেকে নেমে কথা বলা মাত্রই মারধর করা হয় আমাকে। পরে নেতাকর্মীদের নামিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।’
বারবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই হায়াত মাহমুদ জানান, ‘তিনি বারবাজার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ার খবর পেয়েছেন। কিন্তু তারা বিএনপি নেতাকর্মী কি না জানা নেই।’