ছুটির দিনে বইমেলায় উচ্ছ্বসিত শিশুরা
অমর একুশে বইমেলায় শিশুপ্রহরে উপচে পড়া ভিড় ছিল আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। মাসজুড়ে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর। এ সময়ে উচ্ছ্বসিত দেখা যায় শিশুদের। তারা বই কেনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেতে ছিল।
বইমেলায় গিয়ে দেখা গেছে, শিশুরা মা-বাবা, অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় এসে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সিসিমপুরের ইকরি মিকরি, হালুম ও শিকু ইত্যাদি উপভোগ করেছে। এ ছাড়া শিশুচত্বরের স্টলগুলোতে ঘুরে ঘুরে বই দেখেছে এবং অভিভাবকদের কাছে পছন্দের বই কিনে দেওয়ার আবদার করেছে তারা।
শিশুরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে উপভোগ করে এই শিশুপ্রহর। শিশুদের বইমেলা উপভোগ করাতে ও ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তান, ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছড়া, গল্প, বিজ্ঞান কুইজ ও ভূতের বই শিশুদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তুরহান এসেছে বাবার সঙ্গে। সে এনটিভি অনলাইনকে বলে, ‘আমি সকাল ১১টায় এসেছি। আব্বু আমাকে একটি ভূতের বই কিনে দিয়েছে। আমি রিডিং পড়তে পারি। বাসায় গিয়ে এই বই পড়ব। আমি আরও একটি গল্পের বই কিনব। মেলায় এসে আমার আমার ভালো লাগছে।’
গ্রিন রোড থেকে মেলায় আসা শামছুল আলম বলেন, ‘আমরা পাঁচটি পরিবার একসঙ্গে এসেছি। আমাদের সঙ্গে সন্তানদেরও নিয়ে এসেছি। সকাল ১১টায় সিসিমপুরের মুক্তমঞ্চে তারা অনেক আনন্দ করেছে। ইট-পাথরের চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে বাচ্চারা অনেক সময় হাঁপিয়ে ওঠে। এখানে এসে তারা নিজেদের বাধাহীন মুক্ত পাখির মতো মনে করছে।’
এদিকে, টুনটুনি প্রকাশের স্টলে কর্মরত তাহমিদা আক্তার শান্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেচাকেনা বেশি। আমাদের এখানে শিশু, কিশোর ও বড়দের কিছু বই আছে। তবে, শিশুদের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুরা বিজ্ঞানবিষয়ক ও ভূতের বই পছন্দ করছে। আশা করি, ছুটির দিন হিসেবে আজ সারাদিন দর্শনার্থী ও ক্রেতার পরিমাণ বেশি থাকবে।’
অন্যদিকে, কিশোর কলম প্রকাশে কর্মরত বশির বলেন, ‘আজ লোকজন হিসেবে তুলনামূলক একটু কমই বিক্রি হচ্ছে। তবে, দর্শনার্থী সংখ্যা অনেক বেশি। সবাই বই দেখছে। শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক বইগুলো দিতে কিনছেন অভিভাবকরা।’