বিয়ে না করায় ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিল মা!
ছেলেটির বয়স ৩৮। তবে এখনও বিবাহ বন্ধনে জড়াননি তিনি। কোনোদিন বান্ধবীকেও বাড়িতে আনেননি। এমনকি বিয়েও করছে না। এতেই দুশ্চিন্তায় ওই ছেলের মা। না পেরে ছেলেকে নিয়ে দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসকের।
ঘটনাটি মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের। চীনা সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বিয়ে না করায় ৩৮ বছর বয়সী ছেলে ওয়াংকে নিয়ে ২০২০ সাল থেকে মানসিক হাসপাতালে ছুটছেন মা। এ নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওয়াং। ইতোমধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এমনকি ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিয়ে নিয়ে জোর করার বিষয়ে বিতর্কের জন্ম হয়েছে।
ভিডিওতে ওয়াং বলেন, ‘চন্দ্র নববর্ষে আমি কোনোদিন আমার কোনো বান্ধবীকে বাড়িতে আনিনি। এতে আমার মায়ের মাঝে একটি বিপরীত ধারণার সৃষ্টি হয়।’
অন্যান্য বছরগুলোর মতো গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়াংকে নিয়ে হেনান প্রদেশের মানসিক হাসপাতালে যান তার মা। ওয়াংয়ের সঙ্গে কথা বলার পর চিকিৎসক তার মাকে জানান, ছেলের কোনো সমস্যা নেই, সমস্যাটি তার।
পরে চিকিৎসক এক নোটে লেখেন, ওয়াংয়ের মায়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তার সমস্যাটি হলো, ‘বিয়ের জন্য ছেলেকে জোর করা।’
এ বিষয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে ওয়াং বলেন, ‘আমাকে অবিবাহিত হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত নয়। আমি খুব ব্যস্ত। এখনও বিয়ের জন্য সঠিকজনের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আমার মা ঘুমাতে পারেন না, কারণ আমি বিয়ে করিনি। তার কাজে আমি খুব বিরক্ত বোধ করি।’
হেনান প্রদেশে টেনিস কোচ হিসেবে কাজ করছেন ওয়াং। তিনি শহরের ‘সুপার ওল্ড সিঙ্গেল ম্যান’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেইজিংয়ে বাড়ি কেনার মতো অর্থ আমার কাছে নেই। কে আমাকে বিয়ে করবে।’