তদন্তের মুখে বিবিসির চেয়ারম্যান
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড ঋণ নিতে সাহায্য করার অভিযোগে সংবাদমাধ্যম বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বরিস সেই ঋণ পাওয়ার পরই দ্রুত বিবিসির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন শার্প। তবে, বরিসকে ঋণ পেতে সাহায্য করার বিষয়টি বিবিসির বোর্ডকে জানাননি শার্প। আর সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসি যখন কোনো চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তার মনোয়ন আসে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু বিবিসির বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সব তথ্য জানাতে হয়। সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হয়।
শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি সম্পূর্ণ আড়ালে রেখেছিলেন। আর সেটিই তার দোষ বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে বিরোধীরা দাবি তুলেছে—যত দ্রুত সম্ভব শার্পকে পদত্যাগ করতে হবে।
শার্প অবশ্য জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে তিনি সেইভাবে যুক্ত ছিলেন না। তবে, নিজের সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছেন শার্প। তিনি বলেছেন, এই অভিযোগ বিবিসির ভাবমূর্তিতে আঘাত করেছে। সে কারণে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তদন্ত কমিটির সামনেও তিনি ক্ষমা চেয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, শার্পকে দ্রুত পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিরোধী লেবার পার্টি। এভাবেই বিবিসির মতো সংস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বরিস জনসন অবশ্য এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। যে কারণে তাকে পদত্যাগও করতে হয়েছে। এবার তার নতুন কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এলো।