বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বনজের মামলার প্রতিবেদন ২১ মার্চ
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও প্রবাসী সংবাদকর্মী ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মার্চ তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।’
এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয় ও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।’
এর আগে, মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়, তারা হলেন—পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ইতোমধ্যে চার্জশিট দিয়েছে।