চীনের রাস্তায় বৃদ্ধদের বিক্ষোভ
চিকিৎসা সুবিধায় কাটছাঁট করায় এবার রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে চীনের কর্ম থেকে অবসরপ্রাপ্তরা। দেশটির স্থানীয় বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম কভিড শনাক্ত হওয়া শহর উহানে বিক্ষোভে নামে বৃদ্ধরা। একইসঙ্গে উত্তর-পূর্বের শহর ডালিয়ানেও বিক্ষোভ করেছে অবসরপ্রাপ্তরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, সর্বশেষ সাতদিনের মধ্যে এটি চীনা বৃদ্ধদের দ্বিতীয় বিক্ষোভ। এতে করে শি জিন পিং প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে।
সপ্তাহখানেক আগে উহানের স্থানীয় প্রশাসন বিমার মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা কমানোর ঘোষণা দেন। এতে করে চিকিৎসা পেতে আগের তুলনায় বেশি অর্থ গুনতে হবে অবসরপ্রাপ্তদের। কিন্তু, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্তরা তাদের বিমার মাধ্যমে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবে। এরপরেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি উহানে বিক্ষোভে নামে বৃদ্ধরা।
বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা যায়, অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধরা রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছে। তারা কমিনিউস্টের বৈশ্বিক গান গাইছেন। অতীতেও সমস্যার সমাধানের জন্য এই গানটি গেয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তারা বলছেন, এতে করে চিকিৎসার জন্য আমাদের বেশি খরচ করতে হবে।
বিবিসি বলছে, স্বাস্থ্য বিমার মতো বিষয়গুলো প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষই দেখভাল করে। তবে, ইস্যুটি নিয়ে চলা বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।
গত বছরে শেষের দিকে চীনে ‘জিরো কভিড পলিসির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে দেশটির জনগণ। এরপরেই নীতিটি পরিবর্তনে বাধ্য হয় শি প্রশাসন। ওই নীতির জন্য চীনা অর্থনীতি বিরাট ক্ষতিতে পড়েছে। নীতির পরিবর্তনের পরপরই দেশটিতে মহামারির নতুন ঢেউ দেখা যায় অর্থাৎ, ব্যাপকহারে করোনায় আক্রান্তের খবর জানা যায়। এতে করে চীনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিরাট চাপে পড়ে। মারা পড়ে বহু বৃদ্ধ, তবে এর সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি। এরপরেই অবসরপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্য সুবিধার পরিবর্তন করে চীনা সরকার। এটিকে সংস্কার বলে অভিমত দিচ্ছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
উহানের বিক্ষোভের এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, ‘রাস্তার দুপাশেই পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। এ ছাড়া তারা আরেকটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনটা করার কারণ, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের থামানো।’
উহানের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে তা নগণ্য। তবে, এটি আমাদের বিমার টাকা। এর প্রতিবাদে আমি ও আমার অনেক বন্ধু রাস্তায় নেমেছি।’