রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ৩৫৮তম দিন আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। এ দিনেও ইউক্রেনে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে ইউক্রেনের বৃহৎ তেল শোধনাগারেও। খবর রয়টার্সের।
নতুন হামলা চালালেও রুশ বাহিনীর নজর বর্তমানে রয়েছে ইউক্রেনীয় শহর বাখমুতের দিকে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা এটি নিয়ন্ত্রণে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিয়েভ বলছে, রুশ ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনারের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যেই আমার বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে ছয়টি আমরা ভূপাতিত করেছি।
এদিকে, ইউক্রেনকে আরও সহায়তার কথা জানিয়েছে ন্যাটো। গতকালও কিয়েভকে সহায়তার জন্য বৈঠক করেছিল ন্যাটোর কর্মকর্তারা।
রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বেজে উঠে। এর মধ্যেই একটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে ইউক্রেনের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ক্রেমেনচুকে। তবে, এতে তেল শোধনাগারটির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, ‘ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের আরেকটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।’
নতুন হামলা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। এমনকি, রয়টার্স স্বাধীনভাবে হামলার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে, মালদোবার পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার একটি নতুন পশ্চিমাপন্থী সরকার অনুমোদন করেছে। দেশটির পুলিশ বলছে, ইউক্রেন সীমান্ত ডেবরিসে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে হামলার হুমকি দিয়েছে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশ। যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়া এই দেশটি বলছে, আক্রান্ত হলে রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীও ইউক্রেনে হামলা চালাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে রুশ বাহিনীর দোনেৎস্কের নজর ছোট বাখমুতের দিকে। অঞ্চলটিতে এখনও লড়াই করছে দুপক্ষ। যুদ্ধের জন্য শহরটির ৭০ হাজার বাসিন্দা স্থানচ্যুত হয়েছে।