সরকার মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায় : ডা. জাহিদ
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয়াবহ চক্রান্ত শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগেও অনেক পত্রিকা ও টিভি বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। এভাবে এসরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়।’
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পেশাজীবীরা প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. রেজোয়ানুর রহমান সোহেল, ডা. নিলুফার ইয়াসমিন, ডা. সাজিদ, সাংবাদিক এসএম রিয়েল রোমান, এমট্যাবের বিপ্লব উজ জামান বিপ্লব, ইঞ্জিনিয়ার আবদূর রশিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার কাউসার কুঠিয়াল, কৃষিবিদ ডা. কবির উদ্দিন, কৃষিবিদ ডা. মোজাম্মেল হক খান সোহেল, কৃষিবিদ ডা. শাহাদাত হোসাইন পারভেজ, কৃষিবিদ রেদোয়ান রিশাদ প্রমুখ।
এসময় ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা না থাকলে ভাষা থেকেও লাভ হয় না। শুধু ভাষার স্বাধীনতাই নয়, সামগ্রিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন করে জাতিকে শপথ নিতে হবে। এ শপথের লক্ষ্য হবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা; কথা বলার অধিকার, মুক্তচিন্তার অধিকার ও লেখার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেসব অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে—গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, চিন্তার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পর এবং স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পরও আমাদের বাকস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।’