উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিজ বাসভবনে বিছানায় শুয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন জুমান তালুকদারের স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাফিয়া ইসলাম রোমকী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাফিয়া ইসলাম রোমকী বলেন, ‘গত বছরের ২৮ নভেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি করা হয় সাবেক মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমকে। শাহীনা বেগম ও তাঁর বাবা আব্দুল কাইয়ুম মুন্সীকে নিয়ে একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হলে আমার স্বামী সংবাদটি তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন। এ কারণে আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হন শাহীনা বেগম।’
রোমকী আরও বলেন, ‘গত ২২ ডিসেম্বর আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় যান। ২৫ ডিসেম্বর আমি ও আমার শিশু কন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হই। তখন থেকে আমার স্বামী আমাদের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার জন্য যখন আমাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন আমার স্বামী আমার সঙ্গেই সেখানে ছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে আমার স্বামী ওষুধ আনতে বাইরে গেলে পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।’ রোমকীর দাবি—মূলত, গত ২৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ফাঁসাতেই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারকে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের গেট থেকে আটক করা হয়। পরে জামালপুরে এনে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
রোমকী আরও দাবি করেন, প্রকৃতপক্ষে ওই ডাকাতির ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ডাকাতির রহস্যের জট খুলে যাবে। এ ছাড়া শাহীনা বেগমের বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তাই মিথ্যা ও সাজানো ডাকাতি মামলা থেকে তিনি তাঁর স্বামী জুমান তালুকদারের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুমান তালুকদারের মা জুলেখা বেগম, বড় মেয়ে জুয়ারিয়া জান্নাত জারা, ছোট মেয়ে জান্নাতুল নাইম জেসিয়া উপস্থিত ছিল।