রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বেশ কয়েকদিন আগেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই আগ্রাসনে নিরপেক্ষতা দেখালেও রুশ তেল কেনায় সবার ওপরে ছিল চীন। এমনকি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কিংবা ইউক্রেনকে কোনো সহায়তা করেনি তারা। বরং, গতকাল চীনা কূটনৈতিক গিয়েছিলেন মস্কোতে। করেছেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি মস্কোতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সুসম্পর্ক থাকলেও এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কিও দেশটির সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে চীনের কোনো পরিকল্পনা আমরা দেখছি না। তারপরেও চীনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের বৈঠক বাঞ্ছনীয়।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তির আগ মুহূর্তে জেলেনস্কি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য কিয়েভ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকে সঙ্গে রেখে কিয়েভে সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এখানেই আমাদের স্বার্থ রয়েছে।’

এদিকে, চীনা কূটনৈতিক জানিয়েছেন, তারা রাজনৈতিকভাবে এর সমাধান খুঁজছেন। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সনদের নীতিগুলোর কথা উল্লেখ করে ওই কূটনৈতিক বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করতে আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ বিবেচনা করা হবে।

রয়টার্স তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামীকাল ভাষণ দিতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।