ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং একই আইনের পৃথক ধারায় আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান আসামির উপস্থিততে এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করত জেলা শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন হোসেন ওরফে রেজওয়ানুল ইসলাম জনি। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০১৩ সালের ২১ মার্চ জনি সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। 

এ ঘটনায় জনিসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তোভোগীর বাবা থানায় মামলা করেন। পুলিশ জনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। 

আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক ইয়াসিন হোসেন ওরফে রেজওয়ানুল ইসলাম জনিকে যাবজ্জীবনসহ এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনে ৭ ধারা মোতাবেক ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমনা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে আদালত তার জামিন বাতিল করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।