ছুটির দিনে মেট্রোরেলে বাড়ে যাত্রী
রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় স্বপ্নের মেট্রোরেল। তার পর থেকে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু রাখা হলেও মেট্রোরেলের সুবিধা নিতে পারছেন না কর্মজীবীরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীর আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে এসেছেন। মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টরা জানান, ছুটির দিনেই মেট্রোরেলে যাত্রীদের ভিড় বেশি দেখা যায়।
আগারগাঁও স্টেশনের পাশে আইসক্রিম বিক্রেতা রহিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শুক্র-শনিবারসহ যে কোনো ছুটির দিন মেট্রোরেলে মানুষ বেশি আসে। মূলত বিনোদনের জন্যই ভ্রমণ করতে বেশি মানুষ আসে মেট্রোরেলে।
উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) স্টেশনে বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের করিম জানান, মেট্রোরেলের কারণে এখানে তাঁরা খাবারের দোকান দিয়েছেন। তবে এখন শুধু ছুটির দিন লোক হয়। অন্যদিন কোনো লোক পাওয়া যায় না। পুরোদমে চালু হলে মানুষের আনাগোনা বাড়বে। তখন মানুষ বেশি হবে। এখন শুধু ছুটির দিন মানুষজন আসে। অন্যদিন তেমন মানুষ দেখা যায় না।
২০১২ সালে প্রকল্প হাতে নিয়ে দশ বছরের মাথায় চালু হয় এই মেট্রোরেল। এ বছরের ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল এবং ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেট্রোরেল প্রকল্প। ট্রেন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩ দশমিক ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁও ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।
রাজধানীর যানজট কমানোর পাশাপাশি দ্রুত যাতায়াতের উদ্দেশে ২০১২ সালে নেওয়া মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৩ সালে জাপান সরকারের প্রতিষ্ঠান জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি করে সরকার। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়ন শেষে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে মোট ছয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার নির্মাণের কথা ছিল। পরে সংশোধন করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়। এমআরটি লাইন-৬-এর আওতায় এই অংশের কাজ শুরু করতে গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার।