ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির মূল্যস্ফীতি আগের বছরের ৮.৭ শতাংশ বেশি
জার্মানির মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতি আগের বছরের একই সময়ের থেকে আট দশমিক সাত শতাংশ বেশি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে খাদ্যের।
আজ বুধাবর (১ মার্চ) মূল্যস্ফীতির একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ডেস্টাটিস। এতে তারা জানায়, গত মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল আট দশমিক সাত শতাংশ, যা তার আগের মাসের সমান।
গত অক্টোবরে জার্মানির মূল্যস্ফীতি দুই ডিজিটের ঘরে পৌঁছায়। ওই মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক চার শতাংশ। তবে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল আট দশমিক সাত শতাংশ। এর মানে দাঁড়ায়, ধীরে ধীরে দেশটিতে নিত্যপণ্যের দাম কমছে।
আকাশছোঁয়া জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম জার্মানির মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোক্তাদের ওপর জ্বালানির চাপ কমাতে সরকার প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সুফল মিলছে না। এমনকি মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়িয়ে চলছে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিভি)। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে বিদ্যুতের দাম আগের বছরের একই সময়ের থেকে ১৯ দশমিক এক শতাংশ বেশি। একই সময়ে খাদ্যের দাম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বেশি ২১ দশমিক আট শতাংশ।
পরিসংখ্যানে ডেস্টাটিস জানায়, বিদ্যুতের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে, খাদ্যের দাম গড় বৃদ্ধির ওপরেই রয়েছে।
২০২২ সালে জার্মানির গড় মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯ শতাংশ। মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য এমনটি হয়েছে। এত করে ভোক্তাদের ওপর চাপ বেড়েছে। সরকারি প্যাকেজ থাকা সত্ত্বেও দেশটির জনগণ দারিদ্র্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একই অবস্থা ইউরোজোনের অন্যান্য দেশগুলোরও।