যুদ্ধ প্রস্তুতি জোরদারে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে চীন
প্রতিরক্ষা খাতে বার্ষিক ব্যয় বাড়াচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। আগের বছরের চেয়ে বরাদ্দ বাড়াবে সাত দশমিক দুই শতাংশ, যা দেশটির অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসের থেকেও বেশি। সশস্ত্র বাহিনীকে চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদারের নির্দেশনার পরই এই খবর সামনে এলো। আজ রোববার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে রয়টার্স।
আজ জাতীয় বাজেট প্রকাশ করেছে চীন। এতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ চীনের প্রতিবেশী দেশগুলো দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট পর্যবেক্ষণ করে। এমনকি, তাইওয়ান ইস্যুতে আওয়াজ তোলারাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান প্রণালিতে নিজেদের অবস্থান জোরদার করে যাচ্ছে চীন।
পার্লামেন্টের বার্ষিক অধিবেশনে নিজের কাজের প্রতিবেদনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, ‘সামরিক অভিযান, সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধ প্রস্তুতির মতো কাজগুলো অধিকভাবে মূল্যায়ন করা দরকার।’
লি আরও বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, ২০২৭ সালের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ওই বছরেই পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) শতবর্ষ। আমাদের সামরিক অভিযান পরিচালনা, যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানো ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করা উচিত।
টানা তিন বছর ধরে সামরিক খাতে বাজেট বাড়াচ্ছে চীন। ২০২১ সালে চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ছয় দশমিক আট শতাংশ বেড়ে প্রথমবার ২০০ বিলিয়ন ছাড়ায়। আর ২০২২ সালে প্রতিরক্ষা খাতে সাত দশমিক এক শতাংশ ব্যয় বাড়িয়েছিল তারা।