পাঁচ সিটির ভোট সেপ্টেম্বরের মধ্যে
চলতি বছরের জুনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ দুটি সিটি করপোরেশনে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ আরও তিন সিটি করপোরেশনের ভোট করতে চায় তারা। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগেভাগেই এই নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। খোদ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে, এসব ভোটের এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (৫ মার্চ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই সিটি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন (ছয় মাস) আগেই নির্বাচন করতে হয়। তবে, ইসি ইচ্ছে করলে ছয় মাস শেষে, মাঝামাঝি অথবা আগেও নির্বাচন দিতে পারে।’
ইসি আরও বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমাদের জাতীয় নির্বাচন হবে। সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকেই করা।’
চার সিটির ভোট এক দিনে হবে কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘একদিনে হবে না। ছয়টা সিটি আছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনেক দেরি। ওটাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যে আনছি না। বাকি পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়তো দুদিনে হতে পারে। এমনকি, তিনদিনেও হতে পারে।’
জুন মাসের মধ্যে দুই সিটি ভোট করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এই কমিশনার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয়নি, চূড়ান্ত কিছু হয়নি। যেগুলো আগে ম্যাচিউরিটি (ক্ষণগণনা) শুরু হবে সেগুলো আগে হবে।’
উপনির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না প্রশ্নে আলমগীর বলেন, ‘এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপর। আমরা বাজেট চাইব, টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব।’
সিটি করপোরেশনের ভোটগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কি না জনতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘কমিশনের ইচ্ছা আছে। ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সে জন্য টাকা লাগবে।’