দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় দেখছে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা বড় নয়। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৪৭ রান। এই মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও জস বাটলার। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। তবে জমে যাওয়া এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান সাকিব আল হাসান।
দুই ওপেনার রয়(১৯) ও সল্ট (৩৫) উভয়কেই বিদায় করেছেন সাকিব। ওয়ানডাউনে নামা ডেভিড মালানকে(০) ও মঈন আলিকে সাজঘরে ফেরান ইবাদত হোসেন। এরপর মিরাজ বিদায় করেছেন স্যাম কারানকে। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয় দেখছে বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ সোমবার (৬ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১০ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৪৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৭১ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল সাত বাউন্ডারি দিয়ে।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচেও টসে জিতে বাংলাদেশ। সাগরিকার ফ্লাট উইকেটে অধিনায়ক বেছে নেন ব্যাটিং। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে ফ্লপ থাকা লিটন দাস আজও ব্যর্থ হলেন। ইংলিশ পেসার স্যাম কারানের গতিতে বিধ্বস্ত হলেন প্রথম ওভারেই। ইংলিশ পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ছেড়ে না দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু টাইমিং ঠিক না থাকাতে ব্যাটের কানায লেগে বল চলে যায় কিপারের হাতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গোল্ডেন ডাকে ফেরা লিটন আজ টিকলেন তিনবল। তবে রানের খাতা খুলতে পারেননি। ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে আউট হলেন শূন্য রানে।
লিটনের পর তামিমকেও নিজের শিকার বানান কারান। তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি এ পেসারের লেগ স্টাম্পের বলে ফ্লিক করেতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। সেখানে থাকা জেমস ভিন্স ক্যাচ লুভে নিয়ে ১১ রানে মাঠ ছাড়া করেন তামিমকে।
১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন মুশফিক ও শান্ত। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। এর মধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। কিন্তু এরপরই রানআউটের কাটায় পড়ে বিদায় নিতে হয় শান্তকে। ৭১ বলে ৫৩ করে থামেন শান্ত।
শান্ত ফেরার পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। ৬৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে মুশফিক স্পর্শ করেন ৪৩তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি। হাফসেঞ্চুরির পর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানেন মুশফিক। কিন্তু থিতু হয়ে মুশফিক নিজেও বিদায় নেন। আদিল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুশফিক। ফেরার আগে ৭০ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। মুশফিকের বিদায়ের পর একে একে হতাশ করেন আফিফ, মাহমুদউল্লাহ, তাইজুলরা।
তবে দলের বিপদে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। পাঁচ নম্বরে নেমে তিনি উপহার দেন ৭৫ রানের চমৎকার ইনিংস। তার ব্যাটে চড়েই আড়াইশর কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ।