হজের কোটা খালি ৬৭ হাজার ৯০৬ জন
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজকে পর্যন্ত দুই দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এবার সময় ৯ দিন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে এ সংক্রান্ত ফাইল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ৫০ হাজার ১৯৩ জন এবং সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে ৯ হাজার ৯৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৫৯ হাজার ২৯২ জন। মোট কোটা থেকে এখনো বাকি আছে ৬৭ হাজার ৯০৬ জন।
২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। মক্কা-মদিনায় বাড়ি-ভাড়া ও তাঁবুর খরচ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।