সুলতান’স ডাইনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান
বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গুলশানের সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটির দল রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায় বলে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।
অপরদিকে, সুলতান ডাইন’স-এর ম্যানেজার আশরাফ আলম বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের লোকজন এসেছিলেন। তারা পজেটিভ সব দেখে গেছেন। তারা সে সময় অনুমোদিত ভেন্ডর থেকে মালামাল নিতে বলেছেন এবং খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্যের বিশুদ্ধতা পরিবীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম বিভাগের মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, আমাদের একটি টিম সেখানে গেছে। তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি।
এদিকে, সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনক রহমান খান নামের একজন ভোক্তা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন। যা পরে ভাইরাল হয়। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফলশ্রুতিতে, রাজধানীর গুলশান-২-এর সুলতান’স ডাইনে পরিদর্শনে যায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যদিও পরিদর্শন শেষে তারা প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করে চলে যায়। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, গত বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনের সাতটি কাচ্চি আনা হয়েছিল।
খাওয়ার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়, এটা তো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না। তখন সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দিই। সে সময় জিজ্ঞেস করি এটা কী মাংস ছিল? ওনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠান। সাথে ওনাদের এজিএম আশরাফ আসেন। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকেটের খাবারের হাড়ের সাথে এবারের মাংসের তুলনা করতে বলি। এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেন না। তারা বলেন, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।
প্রশ্ন করা হয়, তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেওয়ার সময় কি আপনাদের মতো এত বড় ব্র্যান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই? আপনি কি দুটো মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন?
ওনারা উল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনারা কী দিয়ে মেটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলি টাকা অফার করেন এবং বলেন আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কী করতে হয়। এরপর ৯৯৯-এ কল দিই এবং ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করি।