দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : অর্ধেকে নেমেছে গরুর মাংসের বিক্রি
প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের দাম। সাধারণ ও নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। তারই প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। দাম বাড়ার কারণে ও ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় মাংসের বাজারে একবারে ক্রেতা নেই। মাংস ব্যবসায়ীরাও ক্ষতি গুনছেন কেননা আগের থেকে অর্ধেক মাংসও বিক্রি হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, কাপ্তানবাজার, কাজীপাড়া, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সিদ্দিকবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মাংস নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে, চিত্র ভিন্ন, ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
যাত্রাবাড়ীতে সকালে গিয়ে দেখা গেছে, দোকান খুলে মাংস ঝুলিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোনো ক্রেতাই আসেননি দোকানে।
যাত্রাবাড়ীর খাসির মাংসের বিক্রেতা হাসেম বলেন, ‘বাজারে মাংসের দাম বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতা একবারে নেই। আগে দিনে ৪/৫ টা খাসি জবাই করতাম। তখন প্রচুর ক্রেতা থাকত। এখন সাহস করে একটি ছোট খাসি জবাই করি। মাঝে মধ্যে সেটিও পরোপুরি বিক্রি করতে পারি না।’
গরুর মাংসের দোকানি রায়হান হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে টাকা কম, ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে। এখন মাংসের বাজারদর বেশি। আজ দুটি গরু মিলে পাঁচ মণ মাংস হয়েছে। বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দিয়ে এখানে অল্প এনেছি। একটা সময় প্রতিদিনই আট থেকে ১০ মণ মাংসের ব্যবসা ছিল। সেটা কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। আজ বাজারে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা পেলাম না।’
মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও ক্রেতা কম। কারওয়ানবাজারের দোকানি রফিক বলেন, ‘চলতি মাস থেকেই মুরগির বাজারে দাম বেশি। মানুষ গতমাসেও মুরগি কিনেছে। এখন মুরগি কেনাও কমে গেছে। বেচা-বিক্রি এখন অর্ধেকে নেমেছে। আমাদের বিক্রি করতে হয় সীমিত লাভে। কিনতে হয় বেশি দাম দিয়ে।’
এদিকে, বাজারে দেখা গেছে, কাজীপাড়ায় খাসির মাংস এক হাজার ১০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, লাল লেয়ার ২৭০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০, ব্রয়লার ২৫০, কক মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।