রাবার বুলেটের অপব্যবহারের নিন্দা অ্যামনেস্টির
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের রাবার বুলেট এবং অন্যান্য অস্ত্রের ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের ফলে অনেকে চোখ হারিয়েছে, এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে। এসব উল্লেখ করে এমন সব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) তারা এই নিন্দা জানিয়েছে। এএফপির বরাতে খবর বাসসের।
লন্ডন ভিত্তিক সংগঠনটি গত পাঁচ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি দেশে গবেষণা চালানোর পর এই ধরনের পুলিশিং সরঞ্জাম বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও ব্যবহারে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
এসব অস্ত্রকে ‘কম বিষাক্ত অস্ত্রও’ বলা হয়। ‘মাই আই এক্সপ্লোডেড’ শীর্ষক তাদের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কম বিষাক্ত অস্ত্রের প্রায়শই বেপরোয়া এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারের কারণে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ও পথচারী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এবং অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’
এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রাবার বুলেট, রাবারাইজড বকশট এবং টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরিভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
অ্যামনেষ্টি বলেছে, পুলিশের এমন অভিযানে ‘আইবল ফেটে যাওয়া, রেটিনালের বিচ্ছিন্নতা এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারানোসহ চোখের আঘাত আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, কেবলমাত্র চিলিতেই ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিক্ষোভকারীদের দমনে পুলিশের অভিযানে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ চোখে আঘাত পায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্যাট্রিক উইলকেন বলেন, ‘কম বিষাক্ত অস্ত্রের উৎপাদন ও বাণিজ্যের উপর আইনগত বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি প্রয়োগের কার্যকর নির্দেশিকাসহ অবিলম্বে এসব অস্ত্রের অপব্যবহার বন্ধ করা উচিত।’