দ. কোরিয়া-জাপান শীর্ষ বৈঠকের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উ. কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট শীর্ষ সম্মেলনে জাপানে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব জলসীমায় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই সপ্তাহে এটি তাদের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেছেন যে পিয়ংইয়ং তার পূর্ব উপকূলে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। জাপানও ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করেছে এবং উপকূলরক্ষী জাহাজগুলিকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে যে, আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছিল।খবর বিবিসির।
দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা বড় আকারের সামরিক মহড়ার মধ্যেই উত্তর কোরিয়া একা এই সপ্তাহে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান সামরিক মহড়াকে পিয়ংইয়ং শত্রুতাপূর্ণ এবং আক্রমণের জন্য মহড়া বলে মনে করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ১২ বছরের মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনের জন্য টোকিওতে মিলিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে সর্বশেষ উৎক্ষেপণের ঘটনাটি ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং যৌথ সামরিক মহড়া বাড়াচ্ছে যাকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য ‘অপরিহার্য’ বলছেন।
ইউন সুক-ইওল তার জাপান সফরের আগে সংবাদমাধ্যমে একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের বাড়তে থাকা হুমকির মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন’।
ইতোমধ্যে এ সপ্তাহে পিয়ংইয়ং একটি সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং পূর্ব সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর দিকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এ সময় দেশটির নেতা কিম জং উন তার সামরিক বাহিনীকে শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি এ ঘটনাকে বলেছেন ‘উন্মত্ত যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ’ ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার ‘ফ্রিডম শিল্ড’ সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে যার মধ্যে স্থল মহড়া ও কম্পিউটার সিমুলেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মহড়াটি ২৩ মার্চ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রের বিকাশকে সমর্থন করে। দেশটির নেতা কিম জং উনের শাসনাধীনে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও দৃঢ় হয়েছে এবং ইতোমধ্যে চার থেকে ছয়টি আণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।