ইমরান খানের কাছে শান্তির বার্তা শাহবাজের
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের কাছে আবারও শান্তির বার্তা পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জোর দিয়ে বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করতে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে সংলাপে বসতে হবে। খবর ডনের।
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী হাউসে কাউন্সিল অফ পাকিস্তান নিউজপেপার এডিটরসের (সিপিএনই) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে একসঙ্গে বসতে হবে।’
শাহবাজ বলেন, ‘পাকিস্তানের ঋণ খেলাপি হওয়ার হুমকি চলে গেছে। কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে শিগগির স্টাফ-লেভেল চুক্তি চূড়ান্ত হবে।’ তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার আইএমএফের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে সরে আসে এবং তা বাস্তবায়ন না করায় দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ‘শিগগিরই আইএমএফের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে চুক্তি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, তিনি সাম্প্রতিক দুটি অনুষ্ঠানে পিটিআইকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা আসেনি। তিনি আরও বলেন, ‘যদিও রাজনীতিবিদরা সর্বদা সংলাপের আশ্রয় নেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এই বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে।’
শাহবাজ আফসোস করে বলেন, ‘পুলিশ লাইনের একটি মসজিদের ভিতরে আত্মঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত শীর্ষ কমিটির বৈঠকেও যোগ দেয়নি পিটিআই।’
দেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমরা আন্তরিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেব এবং নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তা অনুসরণ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকার এই সত্যটি জানে যে সময়মত নির্বাচন একটি রাষ্ট্রকে শক্তিশালী অগ্রগতির দিকে চালিত করে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতে অনুপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে উপহাস করার জন্য নিন্দা করেন শাহবাজ শরীফ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো একজন তথাকথিত রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবছেন... তবে আদালতে উপস্থিত না হওয়া আইন লঙ্ঘনের সমতুল্য।’
শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) নেতাদের জড়ানো হয়েছিল। তারা এখনও আদালতে হাজির হচ্ছেন।’ ইমরান খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত পুলিশি পদক্ষেপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার নিজে থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আদালতের নির্দেশে কাজ করছে।’