এমপি লতিফকে গ্রেপ্তারের দাবি মহিউদ্দিনের
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ সময় এমপি লতিফকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তিনি।
এম এ লতিফের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম নাগরিক মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কে এম বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নাগরিক মঞ্চের নেতা হাজি ইকবাল ও হাজি জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে কুলাঙ্গার ও পাকিস্তানি চর উল্লেখ করে চট্টগ্রাম থেকে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এম এ লতিফ তাঁর শরীরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাথা বসিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করেছেন। চট্টগ্রামে চলাফেরার সময় এম এ লতিফের মৃত্যু হলে অঘটনের নির্দেশ দাতা ও প্রধান আসামি হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
লতিফকে গোপনে যারা সহযোগিতা করছে তাদের নাম উল্লেখ না করে মহিউদ্দিন চৌধুরী তাদের সাবধান হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ী না হয়েও এম এ লতিফ তাঁর আত্মীয় স্বজনদের চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও সদস্য করে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনকে কুক্ষিগত ও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অপমান করছেন। চট্টগ্রামে যাতে গভীর সমুদ্র বন্দর না হয় তার জন্য এম এ লতিফ ও আরো কয়েকজন সহযোগী নানাভাবে চক্রান্ত করছেন বলে দাবি করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এম এ লতিফকে চোরাকারবারি আখ্যা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে আনা কোকেন, ইয়াবা, গাঁজাসহ নানা অবৈধ দ্রব্যের পাচারের সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।