মুশফিকের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ শুরু করা বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের অপেক্ষায়। ঘরের মাঠে টানা সাতটি সিরিজ জয়ের পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ হেরেছিল তামিম-সাকিবরা। এক সিরিজ পরই আবারও সিরিজ জয়ের ধারায় ফেরার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সেই লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।
আজ সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে শুরুতে লিটন-শান্তদের ফিফটি ও শেষের দিকে মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ৩৪৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করে দুই ওপেনার তামিম-লিটন। প্রথম ওয়ানডেতে নিজেদের সুনাম ধরে রাখতে পারেননি এই দুই ব্যাটার। তাই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দেখেশুনে শুরু করেন তারা। একটা সময় বড় জুটি গড়ার আশাও জাগিয়ে তোলেন। তবে, দলীয় ৪২ রানের মাথায় রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিমকে। ৩১ বলে ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তামিমের বিদায়ের পর শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন লিটন। তুলে নেন ৫৪ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। দলীয় ১৪৩ রানে ৭১ বলে ৭০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে মিডউইকেটে ম্যাকব্রাইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়েন নাজমুল শান্ত। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত খেললেও এই ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব। দলীয় ১৮২ রানে আউট হয়েছেন ১৯ বলে ১৭ রান করে। সাকিবের বিদায়ের পর থিতু হতে পারেননি আরেক ব্যাটার শান্ত। ব্যক্তিগত ৭৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। যা ওয়ানডেতে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।
শান্তর বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। তাওহিদের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করাতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় হৃদয়কে। দলীয় ৩১৮ রানে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফেরেন হৃদয়। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন হিউম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩৪৯/৬ (তামিম ২৩, লিটন ৭০, শান্ত ৭৩, সাকিব ১৭, মুশফিক ১০০*, হৃদয় ৪৯, ইয়াসির ৭, তাসকিন ১* ; অ্যাডাইর ১০-১-৬০-১, হিউম ১০-২-৫৮-৩, ক্যাম্পার ১০-০-৭৩-১, হামফ্রেইস ৭-০-৫৯-০, ম্যাকব্রাইন ৯-০-৬৮-০, টেক্টর ৪-০-২৮-০)