সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২৯ মার্চ
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন সগিরা মোর্শেদের ভাই ডা. শামীম নেওয়াজ আদালতে হাজির হন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোশাররফ হোসেন কাজল অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামসুদ্দিন জুম্মন এসব তথ্য জানান।
নথি থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিরা হলেন– নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগতযোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।