নতুন অ্যালবামে ফাহমিদা নবী ও ন্যান্সি
গত বছরের শুরুতেই প্রকাশ হয় তারেক আনন্দের কথায় মিশ্র অ্যালবাম ‘আনন্দের গান’। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ঈগল মিউজিকের ব্যানারে ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ হলো ‘আনন্দের গান-২’। একই সঙ্গে গানগুলো শোনা যাবে জিপি মিউজিকেও। অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী, ন্যান্সি, কাজী শুভ, বেলাল খান ও ইলিয়াস হোসাইন। বেলাল খান ও ইলিয়াস হোসাইনের সঙ্গে দুটি দ্বৈতগানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী খেয়া ও চৈতী মুৎসুদ্দী। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জেকে, সজীব দাস, কাজী শুভ, বেলাল খান, রাফি মোহাম্মদ, রেজওয়ান শেখ, ইলিয়াস হোসাইন ও মার্সেল।
অ্যালবামটি সম্পর্কে সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, ‘অনেক দিন পর আমি মঞ্চে গাওয়ার মতো একটি গান পেলাম। তারেক আনন্দ গানটি খুবই ভালো লিখেছেন, সজীব দাসও খুব দারুণ সুর করেছেন। আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
ন্যান্সি বলেন, ‘গানের সুর আমাকে মুগ্ধ করেছে। শ্রোতাদের মন ভরাবে গানটি’। কাজী শুভ বলেন, ‘এটি আমার মৌলিক ফোক গান। গানের কথা চমৎকার। আমার সুর, সংগীত ও গায়কীতে ভালো লাগবে সবার।’ বেলাল খান বলেন, ‘প্রেমজল শিরোনামের গানটি আমি সুর করেছি। গানটি আমার সঙ্গে গেয়েছেন খেয়া। ভালোবাসা দিবসের এই গানটি নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত’। ইলিয়াস হোসাইন বলেন, “অ্যালবামে আমার কণ্ঠে দুটি গান রয়েছে। ‘নীলপরী’ শিরোনামের গানটির সুর আমার করা। এই গানটি আমার শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এ ছাড়া রেজওয়ান শেখের সুরে আমার ও চৈতী মুৎসুদ্দীর গাওয়া ‘কাজল চোখ’ গানটিও শ্রোতাদের অন্যরকম আনন্দ দেবে।”
তারেক আনন্দ বলেন, “গত বছর প্রকাশিত ‘আনন্দের গান’ অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান শ্রোতাদের ভালো লাগে। এর মধ্যে বেলাল খানের কণ্ঠে ‘টুপটাপ বৃষ্টি’, রাজীবের কণ্ঠে ‘যমুনার চর’ ও কাজী শুভর গাওয়া ‘সাদাকালো দুঃখ’ গানগুলো ছিল উল্লেখ করার মতো। এ ছাড়া একই বছর বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পীর একক অ্যালবামের জন্য গান লিখেছি। সে গানগুলোও শ্রোতারা বেশ ভালোভাবে নিয়েছে। ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ অ্যালবামের ‘বর্ষা চোখ’, ইলিয়াসের ‘না বলা কথা-৩’ অ্যালবামের ‘রাঙিয়ে দাও’, মিলনের ডানাকাটা পরী অ্যালবামের ‘সুখের তরী’ গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। তাই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার কথায় ‘আনন্দের গান-২’ অ্যালবাম প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়। বিশেষ করে ঈগল মিউজিককে ধন্যবাদ জানাই আমাকে স্বাধীনভাবে অ্যালবামটি করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। অ্যালবামে ছয়টি গানই আমার মনের মতো হয়েছে, আশা করছি আনন্দের গান শ্রোতাদেরও আনন্দ দেবে।”