নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক চায় ইউক্রেন
রাশিয়া বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র রাখার কথা জানানোর পরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক চেয়েছে ইউক্রেন।
গত শনিবার (২৫ মার্চ) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, যেভাবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে, তা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়াকে তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। সেজন্যই রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কৌশলগত কারণে বেলারুশে তারা পরমাণু অস্ত্র রাখার ব্যবস্থা করবে।
রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত শোনার পরেই জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বক্তব্য, রাশিয়ার এই আগ্রাসনবাদী নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেই কারণেই নিরাপত্তা পরিষদকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একসঙ্গে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের বক্তব্য, ক্রেমলিনের এই পদক্ষেপ আসলে পরমাণু অস্ত্রের ব্ল্যাকমেল। বেলারুশে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র রাখলে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়ংকর হতে পারে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রীতিমতো বিবৃতি জারি করে নিরাপত্তা পরিষদকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এখনও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বেলারুশ গোড়া থেকেই রাশিয়াকে সমর্থন করছে। ফলে রাশিয়ার পক্ষে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা সহজ। বস্তুত, বেলারুশে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করার কথা হচ্ছে। ন্যাটোও কৌশলগত অবস্থানে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এবার যদি সত্যি সত্যিই দেশগুলো নতুন করে পরমাণু অস্ত্র কৌশলগত জায়গায় মোতায়েন করতে শুরু করে, তাহলে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ দিকে যেতে পারে।