থেমেছে বৃষ্টি, ৮ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ১০৪
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডের হাতছানি ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই রেকর্ড গড়তে দিল না বৃষ্টি। ২০৭ রানেই থামতে হলো সাকিব আল হাসানদের। উল্টো বৃষ্টির কারণে ম্যাচ অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল ম্যাচ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৫টা ৪০ সে পুনরায় মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে কমেছে খেলা দৈর্ঘ্য। খেলা হবে ৮ ওভার। এই ৮ ওভারে বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডের সামনে নতুন লক্ষ্য ১০৪ রান।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৯.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগের দুই দলীয় সর্বোচ্চ হলো ২১৫ ও ২১১ রান। আজ আগের দুই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে আর সম্ভব হয়নি।
তবে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া না হলেও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টির দলীয় সর্বোচ্চের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৯৬ রান। এবার সেটি ভেঙে বাংলাদেশের ২০৭ রানই এই ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন রনি তালুকদার। প্রথম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া রনি ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে করেন ৬৭ রান।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। তাতে মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ করে দুর্দান্ত শুরু। দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন সাগরিকায়। শুরুর জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ৯১ রান।
এর মধ্যে পাওয়ার প্লেতেই আসে ৮১ রান। যেটা পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৬ রান, যেটা ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙতে পারে আইরিশরা। ৭.১ ওভারে ক্রেইগ ইয়ংয়ের স্লোয়ার বল মিড অফের ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাইমিং ঠিক হয়নি। ফিল্ডার পল স্টালিং ক্যাচ লুফে নিতে দেরি ভুল করেননি। ২৩ বলে ৪৭ করে বিদায় নেন লিটন। ৪৩ বলে ভাঙে ৯১ রানের জুটি।
লিটন ফিরলেও থিতু হয়ে যান রনি। উইকেটে ঝড় তুলে মাত্র ২৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানে থামে রনির ইনিংস। ১৩.৬ ওভারে গ্রাহাম হিউমের বলে লাইন পুরোপুরি মিস করেন রনি। সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় এ ওপেনারকে।
মাঝে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ রানেই ফেরেন সাজঘরে। উইকেটে থিতু হয়ে বাজে শটে বিদায় নেন শামীম হোসেন। ২০ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩০ রানে ভাঙে তার প্রতিরোধ।
মিডল অর্ডারে দ্রুত কয়েক উইকেট হারালে কমে যায় বাংলাদেশের রানের গতি। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো পুঁজিই পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ওভার শেষ করতে পারেননি। ১৯.২ ওভারে ২০৭ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ১৩ রান করেন তাওহিদ। তাঁর সঙ্গে সাকিব আল হাসান করেন ২০ রান।