পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি ঘাটের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে এ হামলা হয়।
নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টু ফকিরের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থী। এ ঘটনায় ডিক্রিরচর ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আবু ফকির বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আবু ফকির অভিযোগ করেন, গতকাল রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যান মিন্টু ফকিরের নির্দেশে ২৫ জনের মতো যুবক রামদা, ছ্যান, রড, শাবল, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার একটি এক্সাভেটর (বেকু) মেশিন ও একটি ড্রাম্প ট্রাকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে এবং বেকুর চালক লুৎফর পিটিয়ে জখম করে। এরপর তার ভাতিজা রাজা ফকিরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ভেতরে ঢুকতে না পেরে ঘরের সামনের লোহার দরজায় কুপিয়ে ভাঙচুর করে। এ হামলায় মিন্টু ফকিরের সহযোগী আলমাস ফকির (৪০), আলমগীর ফকির (৩৫), জাহাঙ্গীর ফকির, ছাব্বির ফকির (৩০), সোহান ফকির (৩০), সুমন ফকির (৩০), নাইম বিশ্বাস (৩০), নাজমুল (৩০), ওবায়দুল সহ অন্যরা অংশ নেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। রাজা ফকির বলেন, তিনি তারাবির নামাজ শেষে বাড়ির গেটের মধ্যে বসে ছিলেন। এ সময় প্রথমে বাড়ির সামনে দিয়ে একদল যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেকু ও ট্রাক ভাঙচুর করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে গেটে কোপাতে থাকে। তিনি আতঙ্কে ঘরের মধ্যে চলে যান। বাড়ির নারী ও শিশুদের মাঝে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকেরা বেরিয়ে এলে হামলাকারী চলে যায়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’