পারমাণু চুক্তি কার্যকরে আলোচনায় পশ্চিমাদের সময় বেঁধে দিতে চায় ইরান
পরমাণু চুক্তি পুনরায় কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনায় বসতে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে বার বার সময় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় চুক্তি কার্যকরে আলোচনা শুরুর জন্য ক্ষমতাধর দেশগুলোকে ইরান আইনি সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে বলেও জানান তিনি। ইরানের সংসদে এ সংক্রান্ত আইন বা বিধি জারিরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন ‘সংসদে এ নিয়ে কথা হচ্ছে। সরকার চুক্তির যৌথ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব পক্ষকে সীমাহীন সময় দিতে পারে না।’
একটা পক্ষ আলোচনার জন্য সময় বেঁধে দিয়ে আইন পাশে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। এটি হলে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কাজটি সরকারের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলেও মত তার।
সর্বশেষ ২০২০ সালে পরামাণু চুক্তি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ তুলে নিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইরানের পার্লামেন্টে আইন পাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র তাতে সাড়া না দিলে ইউরেনিয়াম মজুদ ও সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়ে দেয় সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
বিশ্বের ছয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের সাথে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে একটি চুক্তি করে ইরান। ‘পি ফাইভ প্লাস ওয়ান’ নামে পরিচিত এই দেশগুলো হল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া। চুক্তি অনুসারে ইউরেনিয়াম মজুদ ও সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম থেকে সরে আসে ইরান। দেশটিতে থাকা বেশ কয়েকটি পরমাণবিক স্থাপনাও বন্ধ করে দেয় তারা। বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয় চুক্তিতে। কিন্তু ঝামেলা বাধে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে অচলাবস্থায় পড়ে চুক্তিটি।