ডায়াবেটিসের অস্বাভাবিক ৬ লক্ষণ
ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের সবার কমবেশি জ্ঞান আছে। মূলত এই স্বল্প জ্ঞান বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার পরিমান, ইউরিন ফ্রিকোয়েন্সি, দুর্বল নিরাময় এবং ক্লান্তির মতো লক্ষণগুলোর সাথে যুক্ত৷ দুর্ভাগ্যবশত, আমরা অনেকেই এই লক্ষণগুলোকে উপেক্ষা করে থাকি। যার ফলে ডায়াবেটিস অগ্রসর হতে থাকে আমাদের শরীরে৷ তবে কিছু লক্ষণ আছে যা আগে থেকে শনাক্ত করতে পারলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কালো ত্বক
অনেকের ঘাড়ের ত্বক পুরু এবং কালচে দাগযুক্ত হয়ে থাকে। এটি অনেক সময় ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে ধরা হয়। এমন ত্বক কখনও কখনও মোটা মনে হয়। এটি অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানস নামে পরিচিত। এমন ত্বক বগলেও দেখা যায়। তাই এমন লক্ষণ থাকলে এড়িয়ে না যেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস
ডায়াবেটিসের পরবর্তী জটিলতা হল গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস। যা ডাক্তারি ভাষায় ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস নামে পরিচিত। শরীর যখন ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষম হয় তখন শক্তির জন্য চর্বি ভেঙে যায়। তখন কিটোন নিঃসৃত হয়। রক্তে অতিরিক্ত কিটোনের কারণে শ্বাসে অ্যাসিটোনের মতো গন্ধ হয়।
শুষ্ক মুখ
শুষ্ক মুখ ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপে, শর্করা লালা নিঃসরণকে হ্রাস করে। তাই মুখকে শুষ্ক করে তোলে৷ এর খারাপ দিক হল, শুষ্ক মুখ দাঁত এবং মাড়ির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বমি বমি ভাব
ডায়াবেটিস শরীরের হজম ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। রক্তে শর্করার কারণে গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হয়। এটি হজম করার পদ্ধতিকে সমস্যায় ফেলে। এ সময় বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তাই এটি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ বলে বিবেচিত হয়।
পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা
পায়ে ব্যথা আমাদের শরীরে একটি ইঙ্গিত দেয়। আর তা হচ্ছে যে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা দেয়। যা অঙ্গের অসাড়তা বাড়ায়। অনেকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জ্বালাপোড়া হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়
ডায়াবেটিস রোগজীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শরীরকে সংক্রমণের ঝুঁকিতে রাখে৷ রক্তে উচ্চ মাত্রায় শর্করা শরীরকে অসুস্থতার জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে৷ এ সময় যোনি সংক্রমণ, খামির সংক্রমণ, মূত্রাশয় সংক্রমণ এবং ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া