বোলিং দিয়ে আইরিশদের থামানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ
ব্যাটিংটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় আজ ব্যাটিংয়ে দেখা গেল হতাশার চিত্র। ব্যাটারদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে বাংলাদেশ থেমে গেল অল্পতে। মাত্র ১২৫ রানের জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু করেছে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ বোলিং দিয়ে আইরিশদের থামানোর চেষ্টায় লড়াই করছে।
এরই মধ্যে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম মিলে আইরিশদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে রানের চাকা সচল আছে আয়ারল্যান্ডের।
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৯.২ ওভারে ১০ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন শামীম হোসেন। ৪২ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায়।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অনায়সে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। আজ জিতলেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার মর্যাদা অর্জন করবে বাংলাদেশ। কারণ, আয়ারল্যান্ডের ঠিক আগেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে সাফল্য এসেছিল। কিন্তু আজ ব্যাটিংয়েই যে হতাশা দেখতে হবে কে জানতো। বিপর্যয়ের শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভার থেকেই।
দ্বিতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল মোকাবিলায় ডিপ পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। সেখানে থাকা জর্জ ডকরেল ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি। ৪ বলে ৫ রান করে থেমে যায় ছন্দে থাকা লিটনের ইনিংস।
ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি থিতু হতে। পরের ওভারেই বিদায় নেন তিনি। হ্যারি টেক্টরের স্পিনের ফাঁদে পা দিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪ রানে ফেরেন শান্ত।
দলীয় ১৮ রানে দুই টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদের মাঝেই বিদায় নেন রনি তালুকদার। ১৪ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। এরপর উইকেটে শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের বোলিং দাপটের সামনে একে একে উইকেট বিলিয়েছেন সাকিব-তাওহিদরা। অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনও পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা রিশাদ থেমেছেন ৭ বলে ৮ রান করে। একের পর উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শামীম হোসেনের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত অল্প রানেই থেমে যায় লাল-সবুজের দল। শামীম উইকেটে থিতু হওয়াতে কোনো মতে দলীয় রান ১০০ ছাড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ। নয়তো আরও হতাশায় ডুবতে হতো লাল-সবুজ দলের।